তুষার আহাম্মেদ – মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার মহাখালীতে রাস্তা দখল করে বেড়া নির্মাণ ও রাস্তার পাড় কেটে গাছ লাগানো অভিযোগ উঠেছে নজরুল ইসলাম ও তার ভাই আমিনুল ইসলাম এবং রুনা বেগমের বিরুদ্ধে। আদালতের আদেশ অমান্য করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মহাকালীর মাল বাড়িতে এ চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে রাস্তা বন্ধ করে বেড়া দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা ২২টি পরিবার। তাদের দাবি, পুনরায় যেনো এই রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মো. মজিবুর রহমান জানান, ৮৬সালে আমিনুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের বাবা কমর উদ্দিন ভূইয়া এবং রুনা বেগমের চাচা মতলব মালের সাথে এই রাস্তাটির জন্য পাশের জমিতে একই পরিমাণ জায়গা দেওয়া হয়। এ সময় এই রাস্তাটি সরকারি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্ত তারা কয়েকজন বহিরাগতদের নিয়ে আজ সিমেন্টের খুঁটি ও টিনের বেড়া দিয়ে এই রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম ও রুনা বেগম কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এগুলো আমাদের নিজেদের সম্পত্তি। আমরা নিজের সীমানা থেকে এক হাত ছেড়ে বেড়া দিয়েছি।তারা যে দাবি করেন এটা রাস্তা বা সরকারি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত সেটার দলিল বা কাগজপত্র দেখাতে বলেন!
এ বিষয়ে মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. শহীদুল ইসলাম ঢালী বলেন, আমি রাস্তায় বেড়া দেয়ার খবর শুনে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তারা কাজ বন্ধ করেনি। তিনি আরো বনেন, এই বিষয়ে আদালতে পিটিশন করেছিল। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে রাস্তা থাকার পক্ষে রায় পায়।
ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাসুদ বলেন, এটি সরকারি প্রজেট। ১৯৮৬ সালের এই রাস্তাটি কেয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকালী ইউনিয়ন পরিষদ বাস্তবায়ন করে। সেই রাস্তাটির মধ্যে নিহত তাইজুল ইসলাম স্ত্রী রুনা বেড়া দেন। আর নজরুল ইসলাম রাস্তার পাড় কেটে গাছ লাগাচ্ছে। চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কাজ না করার জন্য তাদের অনুরোধ করি। কিন্ত তারা আমার কথা না শুনে কাজ অব্যাহত রাখে।#