তুষার আহাম্মেদ – মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় চার বছরের নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে দাদার বিরুদ্ধে।বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভের সঞ্চার হয় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে অভিযুক্ত দাদাকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী শিশুর বয়স চার বছর। সে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের বাসিন্দা।শিশুটির মা বলেন, তার শশুরের চরিত্র ভালো নয়। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার তার দিকেও কুনজর দিয়েছিল তার শ্বশুর। শিশুটির বাবা ঢাকায় একটি ফার্নিচার দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে একাই বাসায় বসবাস করেন।
এদিকে বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আশে পাশের লোকজন না থাকায় শিশুটিকে তার ঘরে ডেকে নেয় তার দাদা। এ সময় সে শিশুটির উপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে। সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে শিশুটি তার কাছে এসে কান্না করতে থাকে। শিশুটি যৌনাঙ্গে তীব্র ব্যাথা অনুভব করেছে জানালে তিনি শিশুটির জামা কাপড়ে রক্ত দেখতে পান। তিনি বিষয়টি আশপাশে লোকজনকে জানিয়ে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই খালেদ উদ্দিন বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং অভিযুক্ত দাদা (৬৫)কে আটক করে গজারিয়া থানায় নিয়ে আসি।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাপসী জান্নাত বলেন, শিশুটির পরিবার সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি তার প্রাইভেট পার্টে ব্রিডিং হয়েছে। শিশুটির পরনের জামা কাপড়ে নাকি রক্ত লেগেছিল। তাকে নতুন জামা কাপড় পরিয়ে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার পরে আমরা প্রাথমিক ভাবে পর্যেবক্ষণ করেছি আমার কাছে মনে হয়েছে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার।
গজরিয়া থানায় ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুক্তার হোসেন বলেন, শিশুটির মা বাদী হয়ে গজারিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে।