তুষার আহাম্মেদ – মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং গ্রামে বাড়িতে ঢুকে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় বাছেদ সেখ (৭০) ও তার স্ত্রী সেলিনা বেগমকে (৬৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর আহত ছেলে আরাফাত শেখ (৩৫) মেয়ে মাকসুদা (২৮) ও শিল্পি বেগমকে (৫০) টঙ্গীবাড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আরাফাত সেখ বাদী হয়ে টঙ্গীবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, সোনারং গ্রামের বাছেদ সেখ তার জমিতে শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) সকাল হতে টিন ও কাঠ দিয়ে ঘর নির্মাণ করছিলেন। ওই ঘর উত্তোলন করতে সকাল ৮ টার দিকে বাঁধা দেয় একই গ্রামের আবু কালাম সেখ , মান্নান সেখ, গিয়াসউদ্দিন সেখ, সুমী আক্তার, আল-আমিন হাওলাদার, সোহেল হাওলাদার, মো. সেন্টু হাওলাদার, বাদশা সেখ, সাইদ সেখসহ আরো ৪/৫ জন।
এ সময় কথা কাটাকাটি পরে তারা রামদা , চাপাতি, ছোড়া, লোহার রড নিয়া হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এবং বাছেদ সেখের টিন ও কাঠ দিয়ে নির্মিত ঘরের বেঁড়া টেনে খুলে ফেলে দেয় তারা। বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী বর্ণা আক্তার সাদিয়া বলেন, আমি আমার খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সকাল বেলা আমার খালু তার জমিতে নতুন একটি ঘর নির্মাণ করিতেছিল। এ সময় সোনারং গ্রামের ১৫/২০ জন চাপাতি, ছোড়া, লাঠি নিয়া আমার খালুর বাড়িতে হামলা চালায়। আমার খালু, খালা ও খালাতো ভাই বোনদের এমনকি আমার মাকেও কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে। আমার খালা খালুর অবস্থা গুরুতর । তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী মো. আবু কালাম বলেন, আমার জীবনে এমন হামলা দেখিনি। বারবার চেষ্টা করেও হামলাকারীদের হাত হতে আমি ভূক্তভোগী পরিবারটিরকে রক্ষা করতে পারিনি। আমি দীর্ঘ সময় উচ্চস্বরে মাগো-বাবাগো বাঁচাও-বাঁচাও বলে চিৎকার করেও গ্রামের লোকেরা দ্রুত ছারাতে এগিয়ে আসেনি। আমি একাধিক আঘাতের শিকার হয়েও চেষ্টা চালিয়ে যাই তারপরেও তারা বৃদ্ধ স্বামী স্ত্রী সহ একই পরিবারের ৫ জনকে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। পরে তারা ঘন্টব্যাপী বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি মো. রাজিব খান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মুন্সীগঞ্জ।