মোঃ আলিফ হোসেন:
রাজধানী ঢাকাকমলাপুর রেলস্টেশনে থেকে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ট্রেন গেল ফরিদপুরের ভাঙ্গার দিকে। এই গৌরবে উচ্ছ্বসিত পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসার কথা থাকলেও প্রায় এক ঘণ্টা দেড়িতে ১০টা ৭ মিনিটে ছাড়ে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশন অতিক্রম করে ট্রেনটি। এ সময় দুই পাশে অপেক্ষমাণ উচ্ছ্বসিত মানুষ হাত নেড়ে ট্রেনটিকে স্বাগত জানান।
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেনটি সকাল ১০টা ৭ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেল স্টেশন অতিক্রম করে।
ট্রেনটি কমলাপুর থেকে ছাড়ার সময় বিপুলসংখ্যক মানুষ রেললাইনের দুই পাশে দাঁড়িয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। পদ্মা সেতু পার হয়ে ভাঙ্গা রেলস্টেশনে যাবে যাত্রীবাহী এই ট্রেন। ট্রেনটি আবার ভাঙ্গা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ফিরে আসবে।
কমলাপুর স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য এই রেল যোগাযোগ যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। ঢাকা-ভাঙ্গা রেল যোগাযোগ উদ্বোধনের পরে যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসবে। এর সুফল সারা দেশের মানুষ পাবে।
ট্রেনের চালক মোঃ আবুল কাশেম অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই এই মেগা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করার জন্য। আমি এর আগেও প্রথম ট্রায়ালে ছিলাম। আজ অফিসিয়ালি ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালু হচ্ছে। ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন ধার উন্মোচিত হচ্ছে।
জানা গেছে, আগামী ১০ অক্টোবর নতুন এই রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের ট্রেনে চড়ে রাজধানীতে আসা-যাওয়ার বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন খুব সহজেই পূরণ হবে।