মোঃ আলিফ হোসেন:
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের বড় খালে ফের চালু করা হলো অবৈধ ড্রেজার। দিনে রাতে ভরাট করা হচ্ছে পুকুর সহ কৃষি জমি।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাফফাত আরা সাঈদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে শ্রীনগর খালের আড়িয়াল বিলসহ ষোলঘর অংশে অবৈধ ভাবে একাধিক ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি ভরাট করার দায়ে ড্রেজার মেশিন বিনষ্ট ও এক লাখ টাকা জরিমানা করে। তারপরও তারা থেমে নেই অভিযানের দুইদিন পরই পুনরায় আবার ডেজার মেশিন ঠিক করে ফের অবৈধ ড্রেজার দিয়ে পুকুর সহ কৃষি জমি ভরাট শুরু করেছে।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে এক শ্রেণীর অসাধু ভুমিদস্যু সেন্ডিকেট সদস্যরা অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের মাধ্যমে গিলে খাচ্ছে আড়িয়াল বিলসহ উপজেলার কৃষিজমি। ড্রেজার দিয়ে কৃষি ও সরকারী খাসজমিসহ খাল,জলাশয়,পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। কৃষি জমি ভরাট করে ভূমিদুস্যুরা গড়ে তুলেছে অবৈধ হাউজিং প্রকল্প। এর ফলে দেশের কৃষি উৎপাদনের বিরাট একটি অংশ দেশের কৃষি খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রীনগর উপজেলার বড় খালে প্রায় ৪টি অবৈধ ড্রেজার চলছে। উপজেলা ব্রিজের সামনে ও গোয়ালবাড়ি ব্রিজের সামনে আরধীপাড়ার টিটু নামে এক ব্যক্তির চলছে ২ টি, গোয়াল বাড়ি ব্রিজের সামনের অংশে চলছে সাঈদ সরদার এর নামে ১টি উপজেলার খালপাড় কবর স্থানের সামনে দয়াহাটা নজরুল এর নামে ১টি অবৈধ ড্রেজার চলছে। শ্রীনগর বড় খালে সব মিলে মোট ৪টি অবৈধ ড্রেজারের রমরমা বাণিজ্য চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, প্রশাসন অভিযান দেওয়ার পরও তারা থেমে নেই দিনে রাতে সব সময় তার অবৈধ ড্রেজার চালায়। রাতে ড্রেজার মেশিনের শব্দে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়। তাদের কিছু বলতে গেলে তারা গালিগালাজ করে ও মারতে আসে তাই ভয়ে কিছু বলতে পারি না।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, কিছু দিন আগেও অভিযান পরিচালনা করে এসেছি। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম আবার চালু করেছে। খোঁজ নিয়ে দ্রত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।