বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন

মুন্সীগঞ্জে মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবি:উদ্ধার ২ মরদেহ, এখনও খোঁজ মেলেনি তিন শিশুর

লিটন মাহমুদ / ৭৫ বার
আপডেট সময়: রবিবার, ৮ অক্টোবর, ২০২৩, ১২:৩২ অপরাহ্ন

মোঃ, লিটন মাহমুদ ,মুন্সীগঞ্জ  প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার চরকিশোরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।আজ রবিবার সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌবাহিনীর ডুবুরি দল আবার অভিযান শুরু করলে চাঁদপুরের দশানী এলাকায় ভাসমান অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।পরে ঘটনাস্থল থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে চাঁদপুরের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয় সাব্বির হোসেন নামে আরও এক জনের মরদেহ।
উদ্ধার শিশুটির নাম জান্নাতুল মারওয়া সাবিহা।জান্নাতুলের পরিবারের সদস্যরা এবং সাব্বিরের পরিবারের সদস্যরা উদ্ধারদের শনাক্তের তথ্য নিশ্চিত করেছে।তবে এ ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছে তিন শিশু।
ট্রলারডুবির এ ঘটনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ডুবুরি দল সাইড স্ক্যান সোনার নামে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা ট্রলারটির এবং নিখোঁজদের অবস্থান নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট এম আক্কাস আলী বলেন,উদ্ধার অভিযানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র স্রোত ও বৈরী আবহাওয়া। আমরা এ কাজে যে সাইড স্ক্যান সোনার ব্যবহার করছি,এটি নিয়ে আমরা আশাবাদী।এর আগেও এটি ব্যবহার করে আমরা অনেক উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেছি।
উদ্ধার কার্যক্রমে দেরির বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এখান থেকে যেহেতু বালু উত্তোলন করা হয়,অনেক জায়গায় বড় গর্ত হয়ে যায়।সেই গর্তে নৌকা বা ট্রলার ডুবে ভেতরে ঢুকে গেলে উদ্ধারকাজে সময় লাগে বেশি লাগে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ট্রলারে করে মেঘনায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন মুন্সিগঞ্জের দক্ষিণ ফুলদী গ্রামের দুই পরিবারের ১১ জন।গজারিয়া ঘাট এলাকায় পৌঁছালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় ট্রলারটি।পরে ঘাটে থাকা দুটি ট্রলার পাঁচ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।
গেল শুক্রবার(৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই ট্রলারটি বাল্কহেডের ধাক্কায় ১১ জন যাত্রী নিয়ে উত্তাল মেঘনায় ডুবে যায়।স্থানীয়দের সহযোগিতায় সে সময় পাঁচ জনকে উদ্ধার হলেও নিখোঁজ থাকেন ছয় জন।
ঘটনার পরে নৌ-পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস,বিআইডব্লিটিএ ঘটনাস্থলে আসে।তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ শুরু করতে পারে না তাঁরা।পরেরদিন শনিবার সকাল ৬টা থেকে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়।পরে সুমনার ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী অটোরিকশা চালক আমির জানান,একটি ট্রলারে করে তাঁরা নদীতে বেড়াতে এসেছিল।সন্ধ্যার পর একটি বাল্কহেডের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রলারটি ডুবে যায়।সঙ্গে সঙ্গে ঘাট থেকে দুটি ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচ জনকে উদ্ধার করে।
0Shares


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com