বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

পদ্মা সেতু দিয়ে ছুটল ট্রেন উৎসুক মানুষের ভিড়

লিটন মাহমুদ / ৮৫ বার
আপডেট সময়: মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩, ১২:২৫ অপরাহ্ন

লিটন মাহমুদ:
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর দুপুর ১টার দিকে পদ্মা সেতু দিয়ে পারি জমিয়েছে ট্রেন।  ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করছেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ ট্রেন চলাচল দেখতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর ও মাওয়া প্রান্তে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সিরাজদিখান,  শ্রীনগর ও লৌহজং এলাকার ঢাকা ভাঙ্গা এক্রপ্রেসওয়ে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কের দুপাশে উৎসুক মানুষের জটলা দেখাযায়। এ সড়ক ধরে মাওয়ার প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানস্থল প্রান্তের দিকে আসেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টার দিকে পৌছান অনুষ্ঠানস্থলে। তখন  মানুষের জটলা লক্ষ্য করা গেছে।  এ সময় উৎসুক মানুষের সঙ্গে কথা  হলে তারা বলেন, গত বছর স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে।এ বছর ট্রেন চলাচল শুরু হলো। স্বচক্ষে ট্রেন চলাচল দেখতে আমরা সড়কের পাশে এসে জড়ো হয়েছি। আমরাও ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকতে চাই তাই এসেছি। পরবর্তী প্রজন্মকে বলতে পারবো উদ্বোধনের দিন আমরা ছিলাম।
এ সময় উৎসুক জনতার সাথে দেখা যায় হয় সিরাজদিখান উপজেলার আবুল বাশার এর সাথে তিনি বলেন স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে গাড়ি চলাচল শুরু হওয়ার পর এবার ট্রেন  চলাচল শুরু হলো।এতে আমরা মহাখুশি।  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সাক্ষি হতে মাওয়া এলাকায় এসেছি।
লৌহজংয়ের অপর বাসিন্দা ইবনুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতুকে ঘিরে আমরা মুন্সীগঞ্জের মানুস এই প্রথম ট্রেন লাইন পেলাম। এটা আমাদের মুন্সিগঞ্জের গর্ব। এখন থেকে  আমরা মুন্সীগঞ্জের লোকজনও ট্রেনে চড়ে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াত করতে পারব।
শ্রীনগরে বাসিন্দ আপন মাহমুদ বলেন মুন্সীগঞ্জের উপর দিয়ে আনুষ্ঠানিক ট্রেন উদ্বোধন হলো এটা  স্বচক্ষে দেখার জন্য এখানে এসেছি। এখোন সহজেই দক্ষিন পশ্চিঞ্চালের লোকজন পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনে যাতায়াত করতে পারবে।
উল্লেখ্য তিন অংশে ভাগ করে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম অংশ ঢাকা-মাওয়ার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৮ কিলোমিটার। এই অংশে কেরানীগঞ্জে একটি নতুন স্টেশন তৈরি হচ্ছে। মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। এই অংশে নতুন স্টেশন ভবন রয়েছে পাঁচটি। এই দুই অংশ আজ উদ্বোধন হচ্ছে।
প্রকল্পের শেষ অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর। এই অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৩ কিলোমিটার। স্টেশনের সংখ্যা ১৪। প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো রেলপথটি চালুর লফক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ মে একনেকে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। অনুমোদনের সময় প্রআক্কলই ব্যয় ধরা হয় ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। বর্তমানে এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটি সরকারের অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত (ফাস্ট ট্র্যাক)। চীনের অর্থায়নে ওই দেশেরই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেলপথ নির্মাণের কাজটি করছে।
0Shares


এ জাতীয় আরো খবর
Theme Created By ThemesDealer.Com